ফিফা বিশ্বকাপ ডিজাইন পরিবর্তনের কারণ

ফিফা বিশ্বকাপ ডিজাইন পরিবর্তনের কারণ 

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ ৫টির মধ্যে প্রথম ৩টি কাপ ভিন্ন হবার কারণে রিসেন্টলি আর্জেন্টিনার ফ্যান অনেকেই বলে বেড়াচ্ছে ব্রাজিল শুধু দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে। বাকি ৩টি বিশ্বকাপ নয় বরং জুরেলিমের ট্রফি। ব্রাজিল ফ্যানরা নাকি এতোদিন তাদের বোকা বানিয়ে এসেছে, আসলে তাদের ট্রফি ৩ টা আমাদের নাকি ২ টা। এই মন্তব্য কারি দের উদ্দেশ্যই ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাস তুলে ধরলাম।

History of FIFA World Cup Design Changes



আমাদের অতি পরিচিত ট্রফিটি বিজয়ী দলকে দেওয়া শুরু হয় ১৯৭৪ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ থেকে। এর আগে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালের আগে যে কাপটি বিজয়ীদের দেয়া হতো সেটার'ও প্রথমে পরিচিত ছিলো "ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি" যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "জুরেলিমে ট্রফি"। ফিফার তৃতীয় প্রেসিডেন্ট ফরাসি নাগরিক স্যার জুরেলিমের নামেই নামকরণ করা হয় এই বিখ্যাত ট্রফিটির।


১৯৭৪ সালে ট্রফির ডিজাইন পরিবর্তনের কারণ 

তৎকালীন নিয়ম অনুসারে ৩ বার যে দেশ বিশ্বকাপ জিতবে তারাই একেবারে ট্রফিটি নিজের করে নিবে। তারই অংশ হিসেবে ১৯৫৮,১৯৬২ এবং ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ জিতে বিশ্ব সেরা হওয়ার পাশাপাশি আজীবনের জন্যে জুরেলিমে ট্রফিটি নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। ১৯৭০ সালে ব্রাজিল জুরেলিমে ট্রফি একেবারে নিজেদের নামে করে নেবার পর তার বদলি হিসেবে নতুন মূল্যবান ট্রফি বানানোর পরিকল্পনা করে ফিফা। যার অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সবার কাছে আহ্বান জানায় ট্রফির ডিজাইন পাঠানোর জন্যে। অনেক যাচাই বাছাই করে সাতটি দেশের সেরা ডিজাইনার এবং কয়েকটি নামি দামি সংস্থা থেকে পাঠানো ৫৩ টি নমুনা আলাদা করে রাখা হয়। সেখান থেকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বেছে নেওয়া হয় ইতালির ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিগার তৈরি ডিজাইনটি যার বাস্তব রূপ হচ্ছে আজকের এই বিশ্বকাপ ট্রফি। ইতালির বিখ্যাত ট্রফি তৈরির কারখানা ' বার্তোনী' তে বানানো হয় এটি। নতুন ট্রফিটিতে ১৮ ক্যারেটের প্রায় ৫ কেজি নিখাদ স্বর্ণ ব্যাবহৃত হয় যার ওজন ৬.১৭৫ কেজি এবং উচ্চতা ৩৬.৮ সেন্টিমিটার। গাজ্জানিগা তার ডিজাইনে যে বিশেষত্বটি ফুটিয়ে তুলে ধরেন সেটি হচ্ছে - দুজন ক্রীড়াবিদ পরস্পর পিছনে ফিরে হাত উচু করে দাঁড়ানো এবং তাদের দুইহাতের মাঝে রয়েছে ভূ - গোলক যার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে - বিশ্ব এখন আমাদেরই। ট্রফিটির নিচের অংশে খোদাই করে লেখা হয় বিশ্বকাপজয়ী দেশের নাম।

Post a Comment

Previous Post Next Post