What is Bangla QR ?

What is Bangla QR ?
What is Bangla QR ?

${tocify}

বাংলা কিউআর কী?

বাংলা কিউআর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে এসএসএলকমার্সের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে তৈরি হয়েছে। বাংলা
কিউআর এর মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সকল ডিজিটাল পেমেন্ট মাধ্যমকে একত্রে নিয়ে আসা। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই সকল ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে বাংলা কিউআর এর মধ্যে নিয়ে আসার নির্দেশনা প্রদান করেছে। ফলে একটি মাত্র প্ল্যাটফর্মেই যে কেউ পেমেন্ট গ্রহণ বা প্রদান করতে পারবেন। ২০২৭ সালের মধ্যে দেশের সকল লেনদেনের ৭৫ শতাংশ অনলাইন বা ক্যাশলেস করার নিমিত্ত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৭’ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে Bangla QR-এর মাধ্যমে জনসাধারণকে বিনামূল্যে পরিশোধ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের এ সংক্রান্ত ব্যয় সিএসআর খাতে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

QR Code-এর পূর্ণ অর্থ

বিভিন্ন প্রকার তথ্য সংরক্ষণের কাজে কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়। যেমন, কোনো পণ্যের তথ্য সম্পর্কে জানতে, ওয়াইফাই কানেক্ট করতে অথবা কারও মোবাইল নাম্বার নিতে। QR Code-এর পূর্ণ অর্থ হলো Quick Response code। মূলত দ্রুততার সঙ্গে কিউআর কোডের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ (ডাটা এনকোড) করা যায় বলে এই নাম।

কিউআর কোডের সাহায্যে যে কোন এনক্রিপ্টেড তথ্য খুব সহজে সংরক্ষণ ও দ্রুত এক্সেস করা যায় বলে এর নাম দেয়া হয়েছে QR কোড. QR Code হল এক ধরণের দ্বিমাত্রিক বার কোড। পণ্যের দাম, বিভিন্ন প্রমোশোনাল অফার বা অল্প জায়গায় অনেক বেশি তথ্য সংরক্ষণের জন্যই মূলত QR কোড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বাংলা কিউআর বা Bangla QR এর সুবিধা

বাংলা কিউআর ব্যবহার করলে আপনাকে নির্দিষ্ট ওয়ালেটে ব্যালেন্স রাখতে হবে না। কার্ডের মাধ্যমেও এতে পেমেন্ট করা যায় বলে যে কোন কার্ড থেকেই আপনি পেমেন্ট করতে পারবেন দ্রুত। তাছাড়া বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে থাকা অর্থ আপনি সহজেই যে কোন দোকানে ব্যবহার করতে পারবেন, অন্য কোন জনপ্রিয় ওয়ালেটে তা ট্রান্সফার করে নেয়ার দরকার পড়বে না। ফলে সকল রকমের ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমেই লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। দ্রুত ও সহজে স্মার্টফোন ব্যবহার করে ডিজিটাল পেমেন্ট করা যাবে। এর ফলে পেমেন্ট হবে নিরাপদ এবং টাকা হারিয়ে যাবার ভয়ও থাকবে না। সহজেই আপনি নগদ টাকা ছাড়াই যে কোন পণ্য কিনে ফেলতে পারবেন।

সবথেকে বড় ব্যাপার এই সেবা নিতে আপনাকে বাড়তি কোন চার্জ বা খরচ করতে হবে না। আপনার ব্যয়ের হিসাব রাখাও অনেক সহজ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব ব্যবস্থা হওয়ায় পেমেন্ট একদম নিরাপদ থাকবে, আপনার কার্ড বা ব্যাংকের তথ্য অন্য কেউ জানতে পারবে না। একই চ্যানেল ব্যবহার করে পেমেন্ট করায় নিজের পচ্ছন্দমত ডিজিটাল ওয়ালেটে টাকা রাখতে পারবেন।

বাংলা কিউআর যে শুধু গ্রাহকদের জন্য সুবিধা নিয়ে এসেছে তা নয়, মারচেন্ট বা বিক্রেতাদের জন্যও এটি অনেক বড় সুবিধা দিচ্ছে। সকল ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিস হতে প্রাপ্ত পেমেন্ট একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে হিসাব রাখা যাবে এবং গ্রহণ করা যাবে। একই স্থানে সকল সেবা পাওয়ায় ডিজিটাল পেমেন্ট নেয়ার ক্ষেত্রে অনিহাও কম দেখা যাবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলা কিউআর এর মাধ্যমে পেমেন্টের সীমাও উঠিয়ে নিয়েছে। ফলে যে কোন পরিমাণের পেমেন্ট এখন এই সেবার মাধ্যমে করা সম্ভব হবে। ডিজিটাল পেমেন্টের এই ব্যবস্থা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই বেশ সুবিধা দেবে।

Bangla QR বা বাংলা কিউআর কীভাবে ব্যবহার করে?

বাংলা কিউআর ব্যবহার করা যাবে খুব সহজেই। প্রতিটি ডিজিটাল পেমেন্ট সেবাকেই এই কিউআর কোড সাপোর্ট দিতে হবে। ফলে এতদিন ধরে যেসব ডিজিটাল ব্যাংক আলাদা কিউআর সিস্টেম ব্যবহার করছিল তাদেরকে নতুন এই কিউআর সিস্টেম রাখতে হবে। ফলে যে কোন ব্যাংকের অ্যাপ বা এমএফএস অ্যাপে বাংলা কিউআর এর জন্য আলাদা অপশন থাকবে।

এটি ব্যবহার করতে আপনাকে প্রথমে স্মার্টফোনে এমন কোন অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে যেখানে বাংলা কিউআর সাপোর্ট করে। এরপর সেই অ্যাপ হতে কোন দোকানে বা আউটলেটে থাকা বাংলা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে নিতে হবে। এরপরই আপনি কতো টাকা পেমেন্ট করবেন সেটির ইনপুট প্রদান করতে পারবেন। এখান থেকে সামনে এগোলে আপনার মোবাইলে একটি ওটিপি পাঠানো হবে পেমেন্ট নিশ্চিত হবার জন্য। ওটিপি কোডটি দিলেই দ্রুত পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে যাবে। মার্চেন্ট বা বিক্রেতা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন। পুরো সেবাটি খুব দ্রুত, নিরাপদ ও সহজ। বর্তমানে ই-ওয়ালেট অ্যাপে আপনি বাংলা কিউআর ব্যবহারের জন্য আলাদা একটি অপশন দেখতে পাবেন। বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাপগুলোও এই সেবা যুক্ত করছে। ফলে সামনে আরও অনেক অ্যাপ ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় আপনি এর অপশন পেয়ে যাবেন।

বাংলা কিউআর সকল ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভবিষ্যতে এই সেবাটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে আমরা ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা দেখতে পাবো। নগদ অর্থ বহন না করেই ডিজিটাল মাধ্যমে সকল পেমেন্ট করা সম্ভব হলে আরও বেশি নিরাপদে লেনদেন করা সম্ভব হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post